উজ্জীবিত বিডি ডটকম রিপোর্ট:- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদক বিরোধী আপোসহীন ভূমিকা যুগ যুগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মাদকের সর্বনাশা গ্রাস থেকে প্রজন্ম তথা জাতিকে রক্ষায় তিনি জাতীয় সংসদে শুধু বিষয়টি আলোচনা করেই ক্ষ্যান্ত থাকেননি, বরং জাতীয় পর্যায়ে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনাও নিশ্চিত করেছেন।
সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনিক সকল ইউনিটকে মাদক বিরোধী তৎপরতায় নিয়োজিত থাকাটা রাষ্ট্রীয় অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্বে পরিনত করে ঐতিহাসিক জাতীয় কর্তব্য পালন করেছেন। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক বিশাল উদ্যোগটিও ব্যর্থ হতে চলেছে- দেখে মনটা ভীষণ খারাপ হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন পাগলা বাজারের আশপাশের এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের সেল্টার দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পাগলা বাজারের চিত্তরঞ্জন দাসের ছেলে সুমন দাস, আলেকের ছেলে বিতর্কিত আমির, সাহাবউদ্দিনের ছেলে সম্রাটের বিরুদ্ধে। তাদের সেল্টারে রমরমা মাদক ব্যবসা এবং চাদাঁবাজীসহ বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াই কয়েক ডজন নামধারী শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, পাগলা স্টুডিও এলাকার মৃত আলমাছ এর ছেলে শাহ্ আলম,পাগলা স্টুডিও এলাকার লাল এবং জাহাঙ্গীর,পাগলা জেলে পাড়ার মৃত রাশেদ আলীর মেয়ে শীলা ও তার স্বামী বাবুল,আক্তার,জেলে পাড়ার মৃত বাবুলের বউ রাহেলা,মৃত হারেজ পাঠানের ছেলে কামাল ও তার স্ত্রী সুমি,জেলে পাড়ার মোকলেছ এর ছেলে মিটুন ও কাউসার,জেলে পাড়ার সম্ভুর ছেলে উত্তম, পাগলা বাজার এর তোতলা মনির,তালতলার কালা কাউসার সহ অসংখ্য মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
তাদের সেল্টারে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা রীতিমত প্রধানমন্ত্রীর কঠোর কর্মসূচিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মাদক ব্যবসা বহালই রাখছে। কারা এই প্রভাবশালী সেল্টারদাতা? তারা মূলত মাদক ব্যবসায়ীর সেল্টারদাতা হয়েও তারা সমাজসেবীতে পরিনত হয়েছেন। তারাই থানা পুলিশের যাবতীয় খরচ খরচা মেটান, রাজনীতির মিছিল সমাবেশে লোকজনের যোগান দেন, নিজ এলাকায় দান খয়রাত করে দানবীরে পরিনত হয়ে উঠা মানুষ।
তাদেরকে মাদক ব্যবসায়ীদের সেল্টারদাতা হিসেবে চিহ্নিত করার সুযোগ নেই বললেই চলে। তারা নিজ এলাকায় বড় মাপের সমাজসেবক, দানবীর, রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হলেও তাদের নেপথ্য চরিত্র কিন্তু একেবারেই ভিন্ন। এই সুমন দাস, আমির, সম্রাট, প্রকৃতপক্ষে পাগলার বিভিন্ন এলাকার মাদক সারাজ্যের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক। মাদক বাজার সম্প্রসারণের অবৈধ বাণিজ্যটি পরিচালনা করে মাত্র ৫/৭ বছরেই সুমন দাস, আমির, সম্রাটরা লাখ লাখ টাকার মালিক বনেছেন।
সেই টাকার অতি ছিটেফোটা অংশ ছড়িয়ে তারা ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ নেতাদের কিনে ফেলেছেন, নিজেদের নামটিও যুক্ত করেছেন আওয়ামীলীগের নেতার জায়গাতে। এখন নিজ এলাকার বড় নেতা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর তারা ।
এলাকার মানুষজন তাদের’কে দানবীর হিসেবেই চেনেন, কিন্তু তারা যে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়িদের শেল্টারদাতা- এর ঘূর্ণাক্ষরও জানেন না কেউ। তারা নাকি প্রশাসনের খরচ খরচা চালানো এমন কয়েকশ’ মাদক ব্যবসায়ী কাম সমাজসেবী যে কোনো মূল্যে মাদক ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর তারা । প্রভাবশালীদের মধ্যে একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাও মাদক ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখছে। এদিকে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চলাকালেও পুলিশ কর্মকর্তারা মাদক স্পটগুলোর মালিকানা বদলে দিচ্ছেন। নিলামে ডাক তোলার মত করেই কেনাবেচা হয়ে যাচ্ছে মাদকের স্পটগুলো।
এসব কারণেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদক বিরোধী অভিযানের মতো জাতীয় কর্মসূচি অতি সহজেই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়, হবেও।